হল যে প্রভাত (গান)

গান- হল যে প্রভাত
বাংলা অনুবাদ-
অরুণেন্দু দাস
কথা ও সুর- প্রচলিত স্কটিশ প্রার্থনাসঙ্গীত "Morning Has Broken" এর অনুপ্রেরণায়।

রেকর্ডিং

অপ্রকাশিত

কথা

হল যে প্রভাত,শান্ত এ প্রভাত
ফুলে ফুলে আর কাকলিতে
মহিমা গাই তার, কৃপা নিয়ে যার
এলো এ প্রভাত পৃথিবীতে।

শিশিরে ভেজা সোনালি আলো,
মধুরতা যায় ছুঁয়ে প্রাণে,
স্মরণে আমার করুণা যে তাঁর
পুলকে হৃদয় ভরে আনে।

আমার এ প্রভাত, আমার এ আলো,
পরশ এ যে তার ভালোবাসার
প্রাণে আমি তাইপ্রেরণা যে পাই
প্রতি প্রভাতে নবীন আশার।

[কিডব্রুক গ্রোভ, ১৯৭২]

বিমগ্ন উদাসীন (গান)

গান- বিমগ্ন উদাসীন
কথা ও সুর- রঞ্জন প্রসাদ


রেকর্ডিং

প্রথম প্রকাশ- ১৯৮৫
অ্যালবাম- আমরা গান গাই যে সুরে
শিল্পী- নগর ফিলোমেল (ইন্দ্রজিৎ সেন)


কথা

কোথায় হারালো রে আমার মন
কোথায় পেল মনের মত ঠাঁই
দূরে বহুদূরে যেথা আকাশ নেমে আসে
সবুজ ধানখেতের সীমানায়।

আমার নাগরিক মনে ঝড়ের হাওয়া লাগে
বাঁধন গুলো তখন টুটে যায়
আমি জানি চিরদিন জলে ভাসে মেঘছায়া
নদীর ধারা সাগর পানে ধায়।

গভির রাতে ঘুমের শহরে
যখন আলো হঠাৎ নিভে যায়
ঘরের দরোজাতে কাঁপে ঘুমে আলোছায়া
চাঁদের আলো দাঁড়ায় জানালায়।

আমার নাগরিক মনে ঝড়ের হাওয়া লাগে
বাঁধন গুলো তখন টুটে যায়
আমি জানি চিরদিন জলে ভাসে মেঘছায়া
নদীর ধারা সাগর পানে ধায়।

কোথায় হারালো রে আমার মন...

নীল নির্বাসন (গান)


গান- নীল নির্বাসন
কথা ও সুর- হর্ষ দাশগুপ্ত


রেকর্ডিং

প্রথম প্রকাশ- ১৯৮৫
অ্যালবাম- আমরা গান গাই যে সুরে
শিল্পী- নগর ফিলোমেল (ইন্দ্রজিৎ সেন, ইন্দ্রনীল সেন, প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়)


কথা

তোমাদের সন্ধ্যা শুধুই অনুভবে
আসে বুঝি বিকেলের লাল ঘোড়াতে চড়ে
এমন তাড়া কীসের একলা ক্যাম্পে
কোথায় ফিরবে কোন দৃশ্যের অনুকূলে

ভুলে গেছি কী রকম তোমাদের নগর জীবন
এখানে রয়েছে শুধুই নীল নির্বাসন।

কোথায় কে যেন আসে, কে চলে যায়
বিগত যুদ্ধের কত জন্মের দাগ মুছে যায়
রাত দুপুরে ক্যাম্পে শুয়ে ঘুম আসে না চোখে
নির্জনে- সুখের আড়াল।

ভুলে গেছি কী রকম তোমাদের নগর জীবন
এখানে রয়েছে শুধুই নীল নির্বাসন।

ডাক এসে যায়, ফ্রন্টে চলি
জীবন ভাঙি, জীবন গড়ি...


টুকরো কথা
১৯৮৩ সালে জ্ঞানমঞ্চে নগর ফিলোমেলের প্রথম অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রকাশিত বুকলেটে গানটির পাঠে নিম্নলিখিত পার্থক্য আছে:

১৯৮৩ বুকলেট
১৯৮৫ অ্যালবাম
"তোমাদের সন্ধ্যাগুলি অনুভবে
আসে নাকি বিকেলের লাল ঘোড়াতে চড়ে
"
"তোমাদের সন্ধ্যা শুধুই অনুভবে
আসে বুঝি বিকেলের লাল ঘোড়াতে চড়ে
"
"ডাক এসে যায়, রাইফেল তুলি
ফ্রন্টে চলি, এগিয়ে চলি...
"
"ডাক এসে যায়, ফ্রন্টে চলি
জীবন ভাঙি, জীবন গড়ি...
"



ভালোবাসার নিখাদ খোলামাঠ (গান)

গান- ভালোবাসার নিখাদ খোলামাঠ
কথা- হর্ষ দাশগুপ্ত
সুর- হর্ষ দাশগুপ্ত ও ইন্দ্রজিৎ সেন


রেকর্ডিং

প্রথম প্রকাশ- ১৯৮৫
অ্যালবাম- আমরা গান গাই যে সুরে
শিল্পী- নগর ফিলোমেল (ইন্দ্রজিৎ সেন, রিমলি সেনগুপ্ত)


কথা

দিন ফুরাবার আগে বোঝা না যায়
প্রাণের রঙ, মনের রঙ
শব্দহীন মধুর আলোয় কথোপকথন
একামন- নিরজন।

খোয়াইয়ের প্রান্তরে হারিয়ে যায়
দূরের সেই তালগাছ একা দাঁড়িয়ে রয়
আমি সেইজন নিরজন- একামন।

কেন তবু সব কথা মনে পড়ে যায়
কেন ফিরে আসে না সে নীল জ্যোছানায়
একা দাঁড়িয়ে রই তবে কার প্রতীক্ষায়?

এই ভালোবাসার নিখাদ খোলামাঠ
তুলির টানে আঁকা নতুন এক পথ
কাশফুল, বনান্তর...

ডেকে কিছু বলে না, শুনে কিছু শোনে না-
ভুলে যাই ওই মায়াজাল, (বয়ে চলে প্রতিকাল)
কাশফুল, বনান্তর...

তাই আজ এইটুকু থাক
বাকি পড়ে রয় অজানা সেই পথ।

এই ভালোবাসার নিখাদ খোলামাঠ
তুলির টানে আঁকা নতুন এক পথ
কাশফুল, বনান্তর...

প্রিয় মহানগরী (গান)

গান- প্রিয় মহানগরী
কথা- গৌতম নাগ
সুর- ইন্দ্রজিৎ সেন

রেকর্ডিং

প্রথম প্রকাশ- ১৯৮৫
অ্যালবাম- আমরা গান গাই যে সুরে
শিল্পী- নগর ফিলোমেল (রিমলি সেনগুপ্ত)


কথা

সারিসারি উঁচু বাড়ি ঢেকেছে তোমার আকাশ
ধোঁয়া ধুলো জঞ্জালে বিষানো বাতাস

নয়া নাম, পিনকোডে পেলে নিবাস নিশানা
এঁদোগলি বাইলেনে আছো কি আছো না?

(আহা) কলকাতা, প্রিয় মহানগরী।

মেলামেশা, কফি-কবি ফিল্ম-থিয়েটার
খেলা কী হুজুগে কাঁপে ট্রাফিক বাজার

বিজলীর লুকোচুরি, থাক না বিকল টেলিফোন
তবু ডাক পেলে আর প্রবাসে থাকে না মন

(আহা) কলকাতা, প্রিয় মহানগরী।

নগর ফিলোমেল (গান)

গান- নগর ফিলোমেল
কথা- গৌতম নাগ, সুর- ইন্দ্রজিৎ সেন

রেকর্ডিং

প্রথম প্রকাশ- ১৯৮৫
অ্যালবাম- আমরা গান গাই যে সুরে
শিল্পী- নগর ফিলোমেল (ইন্দ্রজিৎ সেন, ইন্দ্রনীল সেন, রিমলি সেনগুপ্ত, ইন্দ্রাণী সেন, প্রবুদ্ধ বন্দ্যোপাধ্যায়)


দ্বিতীয় প্রকাশ- ১৯৯৬
অ্যালবাম- স্বপ্ন নেই
শিল্পী- ইন্দ্রজিৎ সেন ও ইন্দ্রনীল সেন

কথা

একদিন সুতানুটি ছেড়ে ডানা মেলে উড়ে চলি
তারাভরা আকাশের নীচে
সেই থেকে প্রতিদিন, সে শহরে চোখে পড়ে
প্রাণহীন তোমাদের মুখ
বোঝো না কেমন করে মিছিমিছি ঘরে তুলে নিয়েছ অসুখ।

নগর ফিলোমেল, নগর ফিলোমেল

পায়রা আতর মেখে হারিয়েছে আকাশে
টাকার তৈরি ঘুড়ি কেটে গেছে বাতাসে
ধীরে ধীরে এই ভাবে দেনা বেড়ে ঘুণ ধরে
ভেঙে পড়ে আড়কাঠ, শ্যাওলায় ইঁটের দেওয়াল
আর অবিরাম গড়ে চলো ভিতহীন শহর চাতাল।

আসে যায় বারবার সোম-শনি-রবিবার
খুঁজে ফেরো পরশপাথর,
লটারি তাবিজে মোড়া, বলি দাও পাঁঠাজোড়া
তবু সুখ মেলা ভার সোম-শনি-রবিবার।

আমরা গান গাই যে সুরে
সেই সুর বাজে সারা প্রাণ জুড়ে
যত অসুখ হেসে সুখ হয়ে যায়,
মিছে শুধু খুঁজে ফেরো পরশপাথর।

নগর ফিলোমেল, নগর ফিলোমেল

বিজনের চায়ের কেবিন (গান)

গান- বিজনের চায়ের কেবিন
কথা- গৌতম নাগ
সুর- ইন্দ্রজিৎ সেন

রেকর্ডিং

প্রথম প্রকাশ- ১৯৮৫
অ্যালবাম- আমরা গান গাই যে সুরে
শিল্পী- নগর ফিলোমেল (ইন্দ্রজিৎ সেন)


দ্বিতীয় প্রকাশ- ১৯৯৬
অ্যালবাম- স্বপ্ন নেই
শিল্পী- ইন্দ্রনীল সেন

কথা
পড়ন্ত আলোর ছটায় নেশা মন যেতে চায়
বিজনের চায়ের কেবিন
বসি গিয়ে জনা তিন, পায়াভাঙা উদাসীন
কয়েকটা চেয়ার টেবিল।

ধোঁয়া কালি রঙ চটা, একফালি দীর্ণতা
তবু যেন বিলাসিতা, রাজকীয় মত্ততা
গুঞ্জনে রাজ্যমুখর
আলোহীন চায়ের কেবিন।

কখনও বা দিন জুড়ে ব্যস্ত নগরে
ঝঞ্ঝাটে স্তব্ধ জীবন
পড়ে থাকে একা হায়, জনহীন দোকানে
বিষণ্ণ মালিক বিজন
বাকি প্রতি বিকেলে চামচে আওয়াজ তোলে
দেনাভারে শীর্ণ বিজন।

উষ্ণ চায়ের কাপে নেশাতুর রাত নামে
বয়ে চলে তরল জীবন
চলে এসো একদিন, দেখা হবে সেখানেই
বিজনের চায়ের কেবিন।
চলে এসো একদিন, দেখা হবে সেখানেই
বিজনের চায়ের কেবিন।